সহজে পড়া মনে রাখার উপায়

পরীক্ষায় ভালো করতে চান? পড়াশোনার অনেক চাপ! কিভাবে পড়লে পড়া সহজে মনে থাকবে বুঝতে পারছেন না? তাহলে এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিতে পারেন সহজে পড়া মনে রাখার উপায়।
সহজে পড়া মনে রাখার উপায়

“লেখাপড়া” এর আজকের পর্বে আমরা জানার চেষ্টা করব সহজে পড়া মনে রাখার উপায় হিসেবে বিশেষ কিছু পদ্ধতি যেগুলো আমাদের কমবেশি সবারই জানা তবে আমরা হয়তো পড়ার সময় জিনিসগুলো খেয়াল করি না।

সহজে পড়া মনে রাখার উপায়

ভালোলাগা থেকে উপন্যাস পড়া হোক কিংবা একাডেমিক পাঠ্যপুস্তক পড়া হোক অনেকেই আছেন পড়া শেষে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো কি সেগুলো মনে রাখতে পারেন না। মনে রাখতে না পারার পেছনে একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হতে পারে মনোযোগ দিয়ে না পড়া অর্থাৎ অন্যমনস্ক হয়ে পড়া (যদিও এটি কেবলমাত্র পাঠ্যপুস্তক পড়ার ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে)। 

এমন কিছু কৌশল বা পদ্ধতি রয়েছে যা স্মৃতিশক্তি উন্নত করার পাশাপাশি পড়া মনে রাখতে পড়ার শুরুর সময়ে, পড়া চলাকালীন সময়ে এবং পড়ার পরবর্তী সময়েও কাজে লাগানো যায়। উদান স্বরূপ একটি কৌশল হল বারবার পড়া। অনেক বড় উপন্যাস কিংবা পাঠ্যপুস্তক যখন পড়বেন তার অসংখ্য তথ্য সে পড়ার ভেতরেই থাকবে তাই একটানা পড়ে গেলে অসংখ্য তথ্য মনে রাখাটা কঠিন। 

সে ক্ষেত্রে যে অংশগুলো গুরুত্বপূর্ণ আপনার জন্য প্রয়োজনীয় সেগুলোকে বারবার পড়ুন এক্ষেত্রে আপনার তথ্যগুলো স্মরণে থাকবে। শিকাগো ভিত্তিক GMAT preparation টিউটরিং সার্ভিস সেন্টার ‘টেস্ট Prep আনলিমিটেড’ এর CEO জশ জোন্স তার লেখা এক প্রবন্ধে সহজে পড়া মনে রাখার উপায় হিসেবে এই ধরনের আরো বেশ কিছু কৌশলের কথা উল্লেখ করেছেন যা অত্যন্ত কার্যকর। যেমন
    • পড়ার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করা
    • মূল বিষয়ের প্রতি মনোযোগী হওয়া
    • পড়ার বিষয়বস্তুর সাথে বাস্তব অভিজ্ঞতার মিল খুঁজে বের করা
    • উচ্চস্বরে পড়া ইত্যাদি।
তো চলুন আর কথা না বাড়িয়ে পড়া মনে রাখার সহজ  ১০ টি উপায় সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নেই। .

পড়ার লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য নির্বাচন করুন

যেকোনো কিছু পড়ার আগে লেখাটি কেন পড়ছেন, পড়ার উদ্দেশ্য কি বা পড়ে কোন জ্ঞান অর্জন করবেন এ বিষয়গুলো মাথায় আনুন। এর ফলে একটি টেক্সট এর ভেতরে থাকা সকল তথ্য পড়ে সেগুলোকে মনে রাখার বৃথা চেষ্টা করে সময় নষ্ট করার পরিবর্তে বরং মূল পয়েন্ট বা আলোচনার বিষয়বস্তুর প্রতি মনোননিবেশ করে সহজেই মনে রাখতে পারবেন। 

উদাহরণস্বরূপ ধরুন আপনি একটি নোভেল বা উপন্যাস পড়ছেন। উপন্যাস পড়ার ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই মনোযোগ দিতে হবে প্লট, চরিত্র এবং বিভিন্ন ঘটনার দিকে তাহলে উপন্যাসটি পড়ার শেষে আপনি পুরো উপন্যাসের একটি সামগ্রিক অর্থ পেয়ে যাবেন। আবার ধরুন সামনে আপনার একাডেমিক পরীক্ষা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে মূল পয়েন্ট, বিভিন্ন সমীকরণ, তারিখ, সাল, বিক্রিয়া, রুলস ইত্যাদি বিষয় গুলোর প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে কম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলোর চেয়ে যেগুলো সাধারণত পরীক্ষায় আসার সম্ভাবনা নেই।

পড়ার আগে গবেষণা করুন

শখ করে কোন উপন্যাস বা গল্প পড়ুন অথবা একাডেমিক পড়ার জন্য কোন বিষয়ে পড়ুন- পড়ার আগে সে বিষয় সম্পর্কিত তথ্য যদি সার্চ ইঞ্জিন থেকে জেনে নিতে পারেন তবে সেই বিষয়টি খুব সহজে আপনার কাছে বোধগম্য হবে এবং সহজে মনে রাখতে পারবেন। ধরুন আপনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সম্পর্কে পড়বেন আপনার ইতিহাস বিষয়ের জন্য। 

এটি পড়ার আগে আপনি যদি ইন্টারনেটে সার্চ দিয়ে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পটভূমি এবং যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী দেশ সম্পর্কে জেনে নিতে পারেন তাহলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণ, উদ্দেশ্য, পরিণতিসহ বিস্তারিত তথ্যই বুঝতে আপনার সুবিধা হবে, একইভাবে আপনি স্মৃতিতে ধরে রাখতে পারবেন খুব সহজেই।

মূল বিষয়ের প্রতি মনোনিবেশ করুন

আপনি যদি একটি উপন্যাস পড়ার চিন্তা ভাবনা করে থাকেন তবে বইটির মলাট খুলে যে সূচিপত্র আছে সেগুলোর প্রতি চোখ বুলান, একই সাথে বইটির একদম শেষে লেখক এবং বইটির বিষয়বস্তু সম্পর্কে যে ব্যাখ্যা দেয়া থাকে সেটির উপরও একবার চোখ বুলাতে পারেন। 

আবার আপনি যদি কোন প্রবন্ধ বা একাডেমিক পড়া পড়তে চান তবে প্যারাগ্রাফ এর মধ্যে কোন বোল্ড লেটারে শব্দ লেখা থাকলে, আন্ডারলাইন করা থাকলে, কোন শব্দ হাইলাইট করা থাকলে লেখাটির ছবি, চার্ট, টেবিল বা ছক ইত্যাদি সেগুলোর প্রতি একবার চোখ বুলিয়ে নিতে পারেন। এতে করে পড়ার প্রতি আপনার আগ্রহ যেমন জন্মাবে তেমনি বিষয়টি পড়ে আপনি সহজেই মনে রাখতে পারবেন।
সহজে পড়া মনে রাখার উপায়

পড়ার প্রতি মনোযোগ ধরে রাখার চেষ্টা করুন

পড়তে পড়তে পড়ার প্রতি মনোযোগ ধরে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করতে হয় যখন আপনি একাডেমিক কোনো বিষয় পড়েন। কারণ এই সময়ে আপনাকে শখ করে বা কোন কিছু জানার আগ্রহ নিয়ে পড়ার পরিবর্তে বাধ্য হয়ে পড়তে হয়। তাই এক্ষেত্রে কিছু কৌশল অবলম্বন না করলে সময় নষ্ট করে শুধু পড়ে যাওয়ায় হয় বিপরীতে কি পড়লেন সেটি আপনার মাথায় ঢুকবে না। 

কিছুক্ষণ পড়ে যদি পড়ার প্রতি মনোযোগ হারিয়ে ফেলেন তবে আপনার ঘড়িতে বা মোবাইলে অ্যালার্ম বা টাইমার সেট করতে পারেন ১৫ থেকে ২০ মিনিটের জন্য। এরপর কিছুক্ষণ পড়ার বিরতি দিন, চেয়ার থেকে উঠে কিছুটা ফ্রি সময় কাটান। গবেষণা থেকে জানা যায় পড়ার মাঝে কিছুক্ষণ বিরতি দিলে আপনার মনের পাশাপাশি মস্তিষ্কও সতেজ হয়ে ওঠে, পড়ার প্রতি যেমন আগ্রহ বাড়বে তেমনি আপনি যা পড়ছেন তা সহজে মনে রাখতে পারবেন। 

এই ফ্রি সময়ে আপনি বিভিন্ন ধরনের সৃষ্টিশীল কাজ যেমন সেলাই করা, গল্প লেখা, ফুল বা ফলের বাগান পরিচর্যা করা ইত্যাদি কাজ করতে পারেন। তারপর আবার পড়া শুরু করুন তবে আগের চেয়ে এবার সময় কিছুটা বাড়িয়ে নিতে পারেন। পড়ার প্রতি মনোযোগ ধরে রাখার আরেকটি উপায় হল একটি অধ্যায় একবারে না পড়ে বরং দুই তিন ভাগ করে পড়তে পারেন। এতে করে পড়ার প্রতি মনোযোগ থাকবে এবং মূল বিষয়ের উপর ফোকাস দিতে পারবেন।

পড়ার পরিবেশ তৈরি করুন

সহজে পড়া মনে রাখার কৌশল গুলোর মধ্যে একটি অন্যতম হল পড়ার পরিবেশ তৈরি করা। পড়ার ক্ষেত্রে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনার পড়াশোনার স্থানটি যদি অত্যন্ত কোলাহল পূর্ণ হয় তাহলে সেই পর আমরা খুব একটা কাজে আসবে না কারণ আপনি পড়ায় মনোযোগ দিতে পারবেন না। আপনার নিজেকে খুঁজে নিতে হবে এবং স্থান বেছে নিতে হবে কোন জায়গায় কিভাবে পড়লে আপনি পড়ার প্রতি মনোযোগী হতে পারবেন। 

আপনি যখন পড়বেন অবশ্যই আপনার মোবাইলটি ভাইব্রেশন মুডে নয় সম্পূর্ণ সাইলেন্ট করে রাখুন। বর্তমানে ডিজিটাল যুগে পড়াশোনার প্রতি ছাত্র-ছাত্রীদের অমনোযোগিতার প্রধান কারণ হলো স্মার্টফোন এবং স্মার্টফোনের প্রতি আসক্তি। পড়ার ফাঁকে যখন বিরতি নিবেন প্রয়োজন হলে তখন মোবাইল স্ক্রিনে দেখে নিবেন কেউ কল করেছে কিনা। 

পড়ার সময় প্রয়োজনে ঘরের দরজা বন্ধ করে পড়ুন। এতে করে পাশের রুমে অথবা বাসার অন্যান্য রুমে পরিবারের সদস্যরা কথা বললে বা কোন ধরনের শব্দ আপনার কানে সহজে পৌঁছবে না। আপনার বাসা যদি বাজারের মধ্যে অথবা বাজারের পাশে হয় তাহলে সব সময় যানবাহনের হর্ন, লোকজনের হৈচৈ কানে আসবে এটাই স্বাভাবিক। 

বাইরে শব্দ যেন না আসে সেজন্য সাউন্ড প্রুফ করতে পারেন আপনার পড়ার ঘরকে। এর জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দোকানে অথবা অনলাইনে কিনতে পাওয়া যায়। পরিবারের সদস্যদের অনুরোধ করুন আপনি যখন পড়বেন তখন যেন টিভির ভলিউম কমানো থাকে যাতে করে টিভির সাউন্ড আপনার রুম পর্যন্ত না আসে। পড়ার টেবিলে অবশ্যই আকর্ষণীয় কলম, খাতা, ডাইরি, ঘড়ি ইত্যাদি রাখতে পারেন, এগুলো পড়ার পরিবেশকে আরো সুন্দর করতে সাহায্য করে।

উচ্চস্বরে জোরে জোরে পড়ুন

সেই প্রাচীন কাল থেকেই আমাদের দাদী নানীর দের কাছ থেকে আমরা শুনেছি জোরে জোরে পড়লে পড়া মনে থাকে। এই পদ্ধতির একটি সুন্দর ব্যাখ্যা হলো আপনি জোরে জোরে পড়লে বাইরের আওয়াজ এর চেয়ে নিজের পড়ার আওয়াজ আপনার কানে পৌঁছবে বেশি। ফলে অন্যান্য দিকে আপনার মনোযোগ যাবে কম এবং পড়ার দিকেই মনোযোগ থাকবে ফলে পড়া মনে রাখতে পারবেন বেশি।

পড়ার সাথে সাথে নোট করুন

পড়া খুব সহজে এবং বেশি বেশি মনে রাখার আরেকটি কার্যকরী উপায় হল নোট করা। সেই প্রাচীনকাল থেকেই আমরা জেনেছি দশবার পড়া এবং একবার লেখা সমান। তাই কোন বিষয় পড়তে গিয়ে গুরুত্বপূর্ণ টপিক নোট করে রাখুন এবং নোট করার সময় টপিক সম্পর্কিত আরো অন্য কোন তথ্য জানার থাকলে জেনে নিয়ে সেটিও নোট করে রাখতে পারেন। 

উদাহরণস্বরূপ ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভ সম্পর্কে পড়ার সময় সেগুলি নোট করুন এবং এই পাঁচটি স্তম্ভ কেন গুরুত্বপূর্ণ সেগুলোও নিজের মতো করে সংক্ষিপ্ত আকারে নোট করে রাখুন যাতে পরবর্তীতে একবার চোখ বুলালে সবকিছু আপনার চোখের সামনে পরিষ্কার হয়ে ভেসে ওঠে। নোট করার অর্থ হলো সেই টপিকটিকে আপনি বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন ফলে মস্তিষ্কেও সে তথ্যটি খুব ভালোভাবে সংরক্ষিত হয়।

গুরুত্বপূর্ণ শব্দ বা লাইন আন্ডারলাইন করুন

কোন উপন্যাস সংবাদপত্র বা একাডেমিক বই পড়তে গিয়ে কোন শব্দ যদি বোল্ড করা থাকে অথবা কোন বাক্যের নিচে যদি আন্দোলন করা থাকে তবে সেদিকে আমাদের মনোযোগ দেয় বেশি। একইভাবে আপনি পড়ার সময় গুরুত্বপূর্ণ টপিককে যদি বিভিন্ন রংয়ের হাইলাইটার দিয়ে চিহ্নিত করে থাকেন অথবা কোন বাক্য বা বাক্যাংশ কে আন্ডারলাইন করেন তবে এই চিহ্নিত করার প্রক্রিয়াটি আপনার মস্তিষ্কে তথ্যটি সংরক্ষণ করতে সহায়তা করবে।

পড়ার বিষয়ের সাথে বাস্তব অভিজ্ঞতার মিল খুজুন

পড়ার সময় কোন তথ্য আপনার মনে যত প্রশ্নের বিকাশ ঘটবে সেই পড়া আপনার জন্য ততই ফলপ্রসু হবে পড়ার তথ্যগুলোর সাথে যদি আপনার নিজের জীবনে করে যাওয়া কোন অভিজ্ঞতার মিল খুঁজে পান তবে সেটি আপনার মনে রাখতে বিশেষ সহায়ক হবে। ধরুন বিখ্যাত কোন ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বের জন্ম সাল যদি আপনার বাবার জন্ম তারিখের সাথে মিলে যায় তবে সেই জন্ম তারিখটি মনে রাখা আপনার জন্য সহজ হবে। 

আবার ধরুন আপনি একটি উপন্যাস বা গল্প পড়েছেন যেটির শেষটা হচ্ছে অত্যন্ত দুঃখের। এই ঘটনাটি আপনার জীবনে ঘটে যাওয়া কোন দুঃখের সাথে যদি মিলে যায় তবে সেটি আপনার মনে রাখতে সহজ হবে। এইভাবে পড়ার সময় বিভিন্ন ঘটনা বা তথ্য যদি আপনার জীবনের সাথে মিলে যায় অথবা আপনি নিজেই যদি মিল খোঁজার চেষ্টা করেন তাহলে পড়া সহজে মনে রাখতে পারবেন।

প্রাপ্ত তথ্য কে কল্পনায় রূপ দিন

কোন বিষয় পড়ে আপনি যে তথ্য পাবেন সে তথ্যগুলো নিয়ে কল্পনা করুন। নিজের মত করে কল্পনা করলে সে তথ্যগুলো মস্তিষ্কে আরো বেশি ভালোভাবে জমা থাকবে। ধরুন আপনি ইতিহাসের পলাশীর যুদ্ধ পড়ছেন। পলাশীর যুদ্ধে অংশগ্রহণকৃত গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র এবং ঘটনাগুলোকে হাইলাইট করে যদি কল্পনা সাজিয়ে ফেলেন তবে পলাশীর যুদ্ধের যাবতীয় তথ্য সহজেই মনে রাখতে পারবেন। 

আবার ধরুন আপনি জীববিজ্ঞান নিয়ে পড়ছেন। এখানে মস্তিষ্কের কার্যাবলী পড়ার সময় আপনি যদি কল্পনা করেন অথবা ভিডিও গ্রাফির সাহায্য নেন অর্থাৎ ইউটিউবে মস্তিষ্কের কার্যাবলীর ভিডিও দেখেন তাহলে এ তথ্য আপনার সহজে মনে থাকবে। 

আবার ধরুন আপনি কোন ইতিহাস পড়ছেন। ইতিহাসের কোন বিখ্যাত চরিত্রকে স্মরণ রাখার জন্য আপনি নিজেকেই কল্পনায় সেই চরিত্রের জায়গায় বসাতে পারেন। এ ধরনের কল্পনা আপনার পড়া কারো সহজ করবে এবং তথ্যকে সংরক্ষণ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
সহজে পড়া মনে রাখার উপায়


পরিশেষে
পড়ার অভ্যাস আমাদের সামাজিক জীবনে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ একটি অভ্যাস। শুধু ছাত্র অবস্থায় নয় চাকরি জীবনে, বিভিন্ন জ্ঞান অর্জনে, গবেষণার কাজে পড়ার অভ্যাস একটি অপরিহার্য বিষয়। যেকোনো বই পড়ার ক্ষেত্রে আমাদেরকে অবশ্যই কৌশলী হতে হবে কেননা আমাদের অফুরন্ত সময় নেই। কম সময়ে বেশি তথ্য মস্তিষ্কে সংরক্ষণ করার জন্য উপরে আলোচিত কৌশলগুলির বিকল্প নেই।

যাইহোক, এতক্ষণ নিজের মতো করে সহজ সাবলীল ভাষায় সহজে পড়া মনে রাখার উপায় গুলো আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম। লেখাটি ভালো লেগে থাকলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন আর কোন ভুল ত্রুটি থাকলে কমেন্ট বক্সে লিখে জানাতে পারেন। এই ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করার আমন্ত্রণ থাকলো। সকলে ভালো থাকবেন, ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মুবিন পিডিয়ার নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url